Translate

শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

পেত-ন-তাৎ-তিক


"একপর্ণিকা" ছোটদের ওয়েবম্যাগে প্রকাশিত উপন্যাস

এবং 

"রুলপুই" উপন্যাসিকা সংকলনে সংকলিত। 








‘অ্যাই যে খুকি, তুমি লিচ্চয় বলতে পারবে। ওই যে পুরাতন বাড়িঘর, মুত্তিটুত্তি, এসব লিয়ে যারা লাড়াচাড়া করে, তাদের কী যেন একটা বলে বেশ’?
টুম্পি, রুনু, ঝুনু মেলার একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে, চোখ বন্ধ করে, সদ্য ভাজা গরম গরম জিলিপি খাচ্ছিল। আচমকা এই প্রশ্নে ওরা ফিরে দেখল, ভেতরের বেঞ্চে দুটো লোক বসে আছে। একজন বকমুখো, অন্যজন শেয়াল মুখো। তাদেরই একজন টুম্পির মুখের দিকে তাকিয়ে, আবার বলল,
‘আরেঃ, বলো না। কী যেন বলে ওদের, ধুত্তেরি কথাটা পেটে আসচে, মুখে আসচে না’।
টুম্পির গাটা জ্বলে গেল, সে এখন ক্লাস টেনে পড়ে। সামনের বার মাধ্যমিক দেবে। তাকে এখন শাড়ি পরে স্কুলে যেতে হয়, মোটেও আর সে খুকি নয়। মুখঝামটা দেবার খুব ইচ্ছে হলেও, লোকদুটোর দিকে তাকিয়ে তার প্রবৃত্তি হল না। তবে ছোট দুই বোনের সামনে, এভাবে প্রেস্টিজ গ্যামাক্সিন করে দেওয়াটা তার একেবারেই মনঃপূত হল না। তাই একটু ঝাঁজের সঙ্গেই প্রশ্ন করল,
‘কিছু বলছেন?’ লোকটা এবার একটু যেন থিতিয়ে, সমীহ করে বলল,
‘ওই যে, যারা ওই ভাঙা মন্দির, রাজাদের ভাঙাচোরা ঘরবাড়ি এসব লিয়ে দিন কাটায়, তাদের কী যেন বলে?’ টুম্পি একটু চিন্তা করে, ভুরু কুঁচকে বলল,
‘আর্কিওলজিস্ট’?
‘আরে লা রে, বাবা, লাইয়ার্কিলজি লয়, পেত না পোত কী যেন বলে একটা’।
‘প্রত্নতাত্ত্বিক’?
‘অ্যাই, পেত্নতাত্তিক। ওফ আজকাল মাথায় এক্কেরে জং ধরে গেচে, ঠিক সময়, ঠিক কথাটা মনেই পড়ে না’। টুম্পি বিরক্ত হয়ে শুধরে দিতে বলল,
‘পেত্নতাত্তিক নয়, প্রত্নতাত্ত্বিক’। বকমুখো একটু অবাক হয়ে বলল,   
‘পেত-ন-তাৎ-তিক, হ্যাঁ আমিও তো তাই বললাম। কিচু কী ভুলভেরান্তি করে ফেললাম বটে?’

বাকিটুকু পড়তে গেলে.... ক্লিক করুন এই নিচের লিংকে এবং ঘরে বসে পেয়ে যাবেন "রুলপুই" -  পাঁচটি উপন্যাসিকার মনোজ্ঞ সংকলন। 







কোন মন্তব্য নেই: