এই লিংকে ক্লিক করলে বাড়ি বসে পেয়ে যাবেন, "দশে দশ" গল্প সংকলন।
http://sristisukh.com/ss_wp/product/%e0%a6%a6%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%b6/?fbclid=IwAR08yJhrMXE6sQy01kjitrsscUDnSsmbjMU3KaN7ve2CE_T9age-wWiiX08
এই সংকলনের পঞ্চম গল্প "দিদিভাই, বাড়ি যান"-এর কিছু অংশ
.....মার্ডারের থেকেও কাজের জিনিষ হচ্ছে, ভয়। এক
পিস মার্ডার হয়ে গেছে। এলাকার মানুষজন ভয় পেয়েছে। আরও একটা মার্ডার করলেই কী
পাবলিকের মনে ভয় বাড়বে? বাড়তে পারে, নাও বাড়তে পারে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, পাবলিক
হয়তো এমন ক্ষেপে উঠলো, তোদের ধরার জন্যে, পুলিশকেই চাপে ফেলে দিল। তখন
কেসটা বহুত কিচাইন হয়ে যাবে, সামলানো যাবে না। এলাকার পাবলিকের মনে একবার সন্ত্রাস
আর আতঙ্ক ঢুকিয়ে দিতে পারলে, তোর কাজ ধর, ম্যাক্সিমাম হয়ে গেল। দু চারটে মার্ডারের
থেকেও সেটা ব্যাপক কাজ দেয়।
একে বলে শকথেরাপি, খুব কাজের জিনিষ।
মার্ডার হচ্ছে শেষ কথা, বার বার মার্ডার হলে আতঙ্কের ধারটা ভোঁতা হয়ে যায়। তাতে
অনেক পাবলিক হেবি বার খেয়ে, খচে গিয়ে আন্দোলন টান্দোলন চালু করে দেয়। মিছিল, মহা
মিছিল। ওদিকে অপোনেন্ট পার্টিরাও পেছন থেকে কাটি মারার সুযোগ পেয়ে যায়। এই পাবলিকের
উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটাকেই আমাদের দুমড়ে দিতে হবে। আর সেটার জন্যে এমন আতঙ্ক ছড়াতে
হবে, এলাকায় সন্নাটা ছেয়ে যাবে। পাবলিকের আন্দোলন, বিপ্লব-টিপ্লব সব ইয়েতে ঢুকে
যাবে। কী বল, পূর্ণ?’
মনাদা
এবার খ্যাঁক খ্যাঁক করে গা দুলিয়ে হাসতে লাগল।
পুলক
বুঝতে পারল না, মনাদা ঠিক কী বলতে চাইছে। পুর্ণর মুখের দিকে তাকাল। কিন্তু
পুর্ণর মুখের দিকে তাকানো আর দেওয়ালের দিকে তাকানো একই ব্যাপার। পুর্ণ মনাদার
ছায়াসঙ্গী বডিগার্ড। তার
ভাবলেশহীন মুখে কোনদিন হাসি দেখে নি পুলক।
কোনদিন চমকাতে বা অবাক হতে দেখে নি।
কোন অনুভুতিই নেই মনে হয়।
পুলক জানে পুর্ণর কোমরে এখনও অন্ততঃ দুটো লোডেড রিভলভার রাখা আছে। আর আছে
ভীষণ শীতল ও আবেগহীন দক্ষতা।
‘তাহলে?
কী করতে হবে?’
‘দোকান
বন্ধ করে ফেরার সময়, জিতেনের মেয়েটাকে ল্যাংটো করে দিতে হবে সকলের সামনে।
শ্লীলতাহানি’। এক চোখ
টিপে ইশারা করল মনাদা, চমকে উঠল পুলক।
‘কে
করবে?’
‘তুই
করবি। আরো তিনজন ছেলে দেব তোর সঙ্গে’।
মনাদার কথায় নিশ্চিন্ত আশ্বাস, তবু যেন বিশ্বাস হল না পুলকের।
‘কি
বলছ, মনাদা। মিঠুনের মার্ডার নিয়েই বিশ বাঁও জলে
– তার ওপর এই কেস? পাবলিক পেলে আমাকে জ্যান্ত রাখবে?’
‘পাবলিক
পাবে কেন? কাজটা করেই তুই সরে পড়বি বাজারের পিছনের পুকুরের দিকে। ওদিকটা অন্ধকার
থাকে, ওখানে টাকা আর বাইক নিয়ে ওয়েট করবে পুর্ণ, তোকে বাইকে পৌঁছে দেবে বাইপাস
পর্যন্ত – বললাম না? পরশু সকালে তো তুই ধানবাদ থেকে পগার পার ইউপির দিকে!’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন