Translate

বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১৮

অপর্ণা

এই লিংকে ক্লিক করলে বাড়ি বসে পেয়ে যাবেন, "দশে দশ" গল্প সংকলন। 

http://sristisukh.com/ss_wp/product/%e0%a6%a6%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%b6/?fbclid=IwAR08yJhrMXE6sQy01kjitrsscUDnSsmbjMU3KaN7ve2CE_T9age-wWiiX08


এই সংকলনের চতুর্থ গল্প "অপর্ণা"-র কিছু অংশ 


.....মিহিন মাটির দুই পরতের পর মসৃণ হয়ে উঠছে প্রতিমার শরীর। পাতলা কাপড়ের ফালিতে নিটোল জুড়ে উঠছে কনুই, কব্জি আর গলার ভাঁজ। নিষ্প্রাণ নিখুঁত মুখ নিয়ে জেগে উঠছে প্রতিমার শরীরি ভাষা। প্রতিমার পীন বক্ষের সুডৌল আদল গড়তে গড়তে মনোতোষ লক্ষ্য করল সিধু একমনে গড়ে চলেছে একটি মেয়ের আর একটি পুরুষের মুখ। কিন্তু ও কার মুখ, কিসের মুখ? মনোতোষ একটু  বিরক্ত হয় –
‘ওটা কার মুখ বানাচ্ছিস রে? মায়ের মুখ বলে মনে হচ্ছে না তো’?

‘মায়ের মুখ বানাচ্ছি না তো মায়ের মুখ না হোক, একটা মেয়ের মুখতো বটে? সব মেয়ের মুখই কি মাদুগ্‌গার পারা হয়’?
‘ও মুর্তিটা আসলে কিসের বল দেখি? মাত্র দুখানা হাত - মা দুগ্‌গা তো নয়, আর এদিকে অসুরের চারখানা হাত? কোন শাস্ত্রে এমনটা আছে আমাকে বল দেখি’
‘সব কি শাস্ত্রে থাকে? শাস্ত্র বানানো হয়েছিল সে কত্তো যুগ আগে! যারা বানিয়েছিল তাদের ঘরে টিভি ছিল, না কোলে ল্যাপটপ ছিল, না কি হাতে ছিল মোবাইল? শাস্ত্র বদলাতে হবে। তুমি এসব বেকার ভাবচো কেন বলো তো, মূর্তিটা বানাচ্ছি আমার নিজের জন্যে’
-‘কাজের সময় অকাজে বেকার টাইম বরবাদ করিস ক্যানো? এখনো কত কাজ বাকি আছে সে খেয়াল আছে, তোর’?
-‘আছে, আছে সব আছে। তুমি টেনসান করো না তো, সব ঠিক ঠাক হয়ে যাবে, সময়মতো’...



এই লিংকে ক্লিক করলে বাড়ি বসে পেয়ে যাবেন, "দশে দশ" গল্প সংকলন। 

http://sristisukh.com/ss_wp/product/%e0%a6%a6%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%b6/?fbclid=IwAR08yJhrMXE6sQy01kjitrsscUDnSsmbjMU3KaN7ve2CE_T9age-wWiiX08


২টি মন্তব্য:

soi (sangita) বলেছেন...

আহা, আলোটুকু লেখায় স্পষ্ট। খুব ভাল লাগল

Kishore Ghosal বলেছেন...

অনেক আগে লেখা, বড্ডো কাঁচা।